
প্রকাশিত: Sun, Feb 12, 2023 4:40 PM আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 7:27 AM
ভাষাসৈনিক গাজীউল হকের জন্মদিন, ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি
আশিক নূরী : [১] আবু নছর মোহাম্মদ গাজীউল হক একজন বাংলাদেশী সাহিত্যিক, গীতিকার এবং ভাষাসৈনিক। তিনি ১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলনসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, কাজী মোতাহার হোসেনসহ বিখ্যাত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। [২] গাজীউল হক ১৯২৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার নিচিন্তা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মওলানা সিরাজুল হক ছিলেন কংগ্রেস ও খেলাফত আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী এবং মা নূরজাহান বেগম। গাজীউল ১৯৪৬ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। এরপর ১৯৫১ সালে বিএ অর্নাস এবং ১৯৫২ সালে এমএ পাশ করেন। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ তাঁর এমএ ডিগ্রি কেড়ে নেয়।
পরবর্তী সময়ে ছাত্রনেতা ইশতিয়াক, মোহাম্মদ সুলতান, জিল্লুর রহমান প্রমুখের প্রচণ্ড আন্দোলনের চাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর এমএ ডিগ্রি ফেরত দিতে বাধ্য হয়। [৩] গাজীউল হক ১৯৫৭ সালে আইনজ্ঞ সৈয়দ নওয়াব আলীর অধীনে বগুড়া বারে যোগদানের মধ্য দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। ৬২’র শিক্ষা আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৬৩ সালের মার্চ মাসে পূব-পাকিস্তান ঢাকা হাই কোর্টে আইন ব্যবসায়ের সনদ লাভ করেন। ১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে যোগদান দেন। সর্বোচ্চ আদালতে একজন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। [৫] গাজীউল হকের উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে- ‘জেলের কবিতা (১৯৫৯)’, ‘এখানে ও সেখানে’, ‘একটি কাহিনী’, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম (১৯৭১)’, ‘এগিয়ে চলো (১৯৭১)’, ‘মোহাম্মদ সুলতান (১৯৯৪)’ ও ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম আইন (১৯৯৬)’। তিনি ২০০৯ সালের ১৭ জুন স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
